মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর এজেন্টের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট ভোট বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।এসময় নৌকার ২ এজেন্টকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
আজ বৃহস্পতিবার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের শুরুতেই এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নু বলেন, প্রতিপক্ষ আনারস প্রার্থীর এজেন্টরা ওই কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দিচ্ছিলো। এ সময় আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করি। এসময় কেন্দ্রের কর্তব্যরত পুলিশের এসআই শরিফুল ইসলাম হাবিব আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। আমি প্রার্থীতার পরিচয় দেয়ার পরেও সে আমাকে হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসেমসহ পুলিশ প্রশাসনের কিছু সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী আমাম হোসেন মিলুর সমর্থনে কাজ করছে। তাদের ইন্ধনেই আমার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে অপদস্থ করেছে। এ সময় নৌকার সমর্থকরা জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। এ ঘটনার পরপরই সেখানে ভোটদান পর্ব বন্ধ করে রাখা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় সেখান থেকে নৌকার দুই এজেন্টকে পুলিশ নিয়ে যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমার এজেন্টের বের করে দিয়ে জোর করে নৌকার পক্ষে ভোট মারছিল। এ সময় আমি উপস্থিত হলে নৌকার এজেন্টের সাথে আমার এজেন্টের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তারা আমার এজেন্টকে বের করে দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি দাবি জানাচ্ছি।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসেম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে, আমি বক্তব্য দিতে পারি না।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামারুল ইসলাম তাৎক্ষনিক কোন বক্তব্য দেননি।