দেশে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী কোরবানির পশু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশুর সংখ্যার বিপরীতে লবণের চাহিদা ছিল ৮১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন। ফলে মজুদকৃত লবণ দিয়ে এবারের ঈদুল আজহার চাহিদা মিটিয়ে আরও ৭ থেকে ৮ মাসের লবণের চাহিদা পূরণ সম্ভব।
অন্যদিকে আর মাত্র ৪ মাস পর অর্থাৎ নভেম্বর, ২০২০ হতে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হবে। ফলে দেশে লবণের কোনও ধরণের ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিসিক।
বিসিক জানিয়েছে, এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য দেশব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের ৮টি লবণ জোনে ১৮৬টি নিবন্ধিত লবণ মিলে পুরোদমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকায় ৪টি, নারায়ণগঞ্জে ৩৪টি, চাঁদপুরে ২টি, চট্টগ্রামে ৫৭টি, পটিয়ায় ৩৪টি, কক্সবাজারে ৩৫টি, খুলনায় ৮টি এবং ঝালকাঠিতে ১২টি মিল চালু রয়েছে। চালু লবণ মিলগুলোর মাসিক গড় উৎপাদন ক্ষমতা ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন হলেও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মিলগুলো লবণ উৎপাদন করে থাকে।
এদিকে ঈদুল আজহায় সার্বিক লবণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য বিসিক আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।
লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ে পৃথক কমিটি গঠন করে তিন স্তরবিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে বিসিক। এসব কমিটি মাঠ পর্যায়ে লবণের মজুদ, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ করে লবণের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ উপলক্ষে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
লবণ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে তথ্যের জন্য ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড)/ ০১৯১১-৮৩৮২০০ (সেল ফোন) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার মার্কেটিং কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারী লবণ বিক্রেতাদের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ তালিকা ঈদের আগেই এতিমখানা, মাদ্রাসা, মসজিদ, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করা হবে। সুতরাং লবণ নিয়ে কোনও কারসাজির সুযোগ নেই বলে মনে করে বিসিক।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন