আজকাল অল্পবয়সীদের শরীরেও দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। নানা অনিয়ম, ব্যস্ততা ভরা জীবনে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সচেতনতা জরুরি। প্রতিদিনের রুটিনে কিছু শরীরচর্চা যোগ করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল।
হাঁটুন
আপনি ভীষণ অলস? কোন শরীরচর্চায়ই মন বসাতে না পারলে হাঁটুন। অন্তত ২০ মিনিট রোজ হাঁটুন। বাইরে যেতে না পারলে বাড়িতেই হাঁটুন। বাড়ির ছাদ, বারান্দা কিংবা বাড়ির সামনের রাস্তাটাকে কাজে লাগান। রোজ নিয়ম করে হাঁটলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল।
দৌড়ান
যদি অলসতার মাত্রা আপনার কিছুটা কম হয় সেক্ষেত্রে দৌড়াতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, রোজ নিয়ম মেনে হাঁটার পাশাপাশি সময় বের করে মোটে দশ মিনিট দৌড়ালে সারা শরীরের শরীরচর্চা হয়। দৌড়ানোর সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। শুরুতে রোজ ১০ মিনিট করে দৌড়ান। অভ্যাস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
সাইকেল চালান
সাইকেল চালানো ভীষণ উপকারী শরীরচর্চা। চিকিৎসকদের মতে, সাইকেল চালালে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে। এতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভালো থাকে হার্ট, সঙ্গে পেশির গঠনও মজবুত হয়। মনের খেয়াল রাখতেও সাহায্য করে এই শরীরচর্চা।
সাঁতার কাটুন
সাঁতার একটি দারুণ শরীরচর্চা। এতে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। যেকোনো ব্যথা, যন্ত্রণায় স্বস্তি দেয় সাঁতার। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কমে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা।
যোগাসন করুন
নিয়মিত যোগাসন করলে কোলেস্টেরল সহ নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। কোলেস্টেরল কমাতে সর্বাঙ্গাসন করতে পারেন। চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি জোড়া করে ওপরে তুলুন। এবার দু’হাতের তালুতে কোমরের ভার দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে তুলুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরল রেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। চোখ রাখবেন পায়ের আঙুলের দিকে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। ৩০ সেকেন্ড এভাবে থেকে শবাসনে বিশ্রাম নিন। তিন বার অভ্যাস করুন এই আসন।
সূত্র: ইত্তেফাক