বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। কম্পিউটার থেকে শুরু করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে এ ব্রাউজারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৬৫ শতাংশই ব্রাউজারটি নিয়মিত ব্যবহার করেন। তবে অনেক সময় ক্রোম ব্রাউজার ধীরগতিতে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বেশ কিছু কৌশল কাজে লাগিয়ে ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়ানো সম্ভব। কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।
১. নিয়মিত ব্রাউজার হালনাগাদ করা:
নিরাপত্তার ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত করতে গুগল নিয়মিত ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করে থাকে। প্রতিটি সংস্করণেই ব্রাউজারের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন নিরাপত্তার সুবিধা যোগ করা হয়। এর ফলে দ্রুতগতিতে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা যায়। আর তাই সব সময় ক্রোম ব্রাউজারের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
২. কুকিজ ও ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলা:
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই ক্রোম ব্রাউজারে বিভিন্ন অস্থায়ী ফাইল জমা হয়। এই ফাইলগুলোকে কুকিজ ও ক্যাশ বলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ফাইলগুলো জমা হয়ে ব্রাউজারের গতি কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত কুকিজ ও ক্যাশ মুছে ফেলে ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়াতে হবে।
৩. প্রিলোড পেজেস সুবিধা চালু:
ক্রোম ব্রাউজারে প্রিলোড পেজেস নামের বিশেষ একটি সুবিধা রয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট দ্রুত চালু করা সম্ভব। সেটিংসে প্রবেশ করে ‘পারফরম্যান্স’ বা ‘স্পিড’ অপশন থেকে সহজেই ‘প্রিলোড পেজেস’ সুবিধা চালু করা যায়। নিয়মিত এ সুবিধা ব্যবহার করলে দ্রুতগতিতে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে।
৪. অপ্রয়োজনীয় ট্যাব বন্ধ:
অনেকেই একসঙ্গে একাধিক ওয়েব পেজের ট্যাব খুলে রাখেন, যা ব্রাউজারের কাজের গতি কমিয়ে দেয়। আর তাই ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় ট্যাবগুলো বন্ধ রাখতে হবে।
৫. বিজ্ঞাপন বন্ধ:
বেশির ভাগ ওয়েবসাইটেই এখন বিজ্ঞাপনের আধিক্য দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলো ব্রাউজারের গতি কমিয়ে দেয় এবং ওয়েব পেজ লোড হতে বেশি সময় লাগে। এ সমস্যা সমাধানে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: টেকলুসিভ