হুমকি মাথায় নিয়েই মুম্বাই ফিরেছেন দুঃসাহসী কঙ্গনা রনৌত। তার আগমনের সময় মুম্বাই এয়ারপোর্টে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মুম্বাই পুলিশ। আজ বুধবারেই কঙ্গনার অফিসের একাংশ গুড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাই পৌরসভা (বিএমসি)। আদালতের স্থগিতাদেশে পুরো ভবনটা আপাতত রক্ষা পেলেও ক্ষোভে ফুঁসছেন ‘ঝাঁসি কি রানী’।
মুম্বাইয়ে কঙ্গনার কার্যালয় ‘মণিকর্ণিকা’য় ফিরেই সামাজিকমাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত অফিসের ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। সেসঙ্গে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে হুমকি দেন, ‘আজ যেমন আমার গৃহ ধ্বংস করেছেন, কাল তেমনি আপনার অহংকারও ধ্বংস হবে। ’
টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা বলেন, এর আগে তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখের কথা জানতেন। এবার তার নিজের বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর তিনি পণ্ডিতদের দুঃখ অনুভবও করতে পারছেন। এরপরই ‘মণিকর্ণিকা’ তারকা সবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি যে শুধু ‘অযোধ্যা’র ওপর সিনেমা বানাবেন তা নয়, এরপর তিনি কাশ্মীরের ইতিহাস নিয়েও সিনেমা বানাবেন।
এদিকে, কঙ্গনার কার্যালয় ধ্বংস করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ‘কুইন’র পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা, অঙ্কিতা লোখান্দে, বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খেরসহ অনেকেই। অনুপম খের বলেন, ওটা আসলে বুলডোজার নয়, ওটা হলো ‘বুলিডোজার’। আর অঙ্কিতার ভাষায় কঙ্গনা হলেন ‘ব্রেভহার্ট’ তথা দুঃসাহসী নারী।
নিজের সাজানো ঘর কেউ ভেঙে দিলে ক্রুদ্ধ হওয়া স্বাভাবিক। কঙ্গনার সেই ক্রোধের আগুন এবার ঠিকরে পড়লো বলিউডের প্রভাবশালী নির্মাতা করণ জোহর ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। সবশেষ টুইট পোস্টে কঙ্গনা বলেন, আসুন উদ্ধব ঠাকরে ও করণ জোহর গ্যাং। আপনারা আমার কর্মস্থল ধ্বংস করেছেন। এবার আমার বাড়ি ভাঙুন, আমার মুখ ও শরীরে আঘাত করুন। আমি চাই, বিশ্ব পরিষ্কারভাবে দেখুক আপনারা গোপন হাত দিয়ে কি করতে পারেন। আমি বাঁচি কিংবা মরি, আমি আপনাদের মুখোশ সবার সামনে খুলে দেব।
কঙ্গনা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ করেই আমার অফিস বেআইনি বলে ঘোষণা করা হলো। তারা ভেতরের আসবাবপত্র ও লাইট পর্যন্ত ভাংচুর করেছে। এখন হুমকি পাচ্ছি, তারা আমার বাড়িতে আসবে এবং এটাও ভাঙবে। ‘আমি খুশি, মুভি মাফিয়া চক্রের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি যে মত দিয়েছিলাম তা আজ সত্য প্রমাণিত হলো,’ যোগ করেন কঙ্গনা।
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন