মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের মৃত সামছুদ্দীন শেখের ছেলে মকলেচুর রহমান তার নিজ জমিতে ৫০টি খেজুরের গাছ আছে।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে হয়।
প্রতিদিন যে রস সংগ্রহ হয় তা থেকে ৮-১০ কেজি গুড় হয়। প্রতি কেজি গুড়ের বিক্রয় করে থাকেন ১৪০টাকা কেজি দরে।
মকলেচুর রহমান জানান, মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আমার কাছে থেকে গুড় ক্রয় করিবার জন্য আসে। কারন আমার তৈরী গুড়ে কোন প্রকার ভেজাল নেই।
গতকাল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারিক নামের এক ব্যক্তি গুড় ক্রয় করিতে আসেন। তিনি
‘মেহেরপুর প্রতিদিনকে’ জানান, আমি গত ২ বছর যাবৎ মকলেচুর ভাই এর কাছে থেকে খেজুরের গুড় ক্রয় করে থাকি তার গুড়ে কোন প্রকার ভেজাল নেই।
৮নংধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, আমি নিজে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ কেজি খেজুরের গুড় মকলেচুর কাছে থেকে ক্রয় করে থাকি তার গুড়ে কোন ধরনে ভেজাল পাওয়া যায় না। কারন সে নিজে হাতে গুড় তৈরী করে থাকে।
৮নং ধানখোলা ইউপি ৮নং ওয়ার্ডে মেব্বার জাফর আলী জানান, নিজে খাওয়া জন্য নিয়ে থাকি বিভিন্ন মেহমানদের মকলেচুর হুজুরের কাছে থেকে খেজুর গুড় নিয়ে দিয়ে থাকি তার তৈরী গুড়ে কোন ভেজাল নেই।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, খেজুরের গাছ বিলুস্ত প্রায় তাই বর্তমানে নিপা ভাইরাস কারনে লোকজনের রস খাওয়া কোন সুযোগ নেই। তাই খেজুরের গুড় খাওয়া শ্রেয়।
-আল আমিন, গাংনী