শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের মাদককাণ্ডে নতুন করে আলোচনায় সুদর্শিনী অনন্যা পাণ্ডে। অনন্যা পাণ্ডে বলিউড অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা এবং আরিয়ান খানের বাল্যবন্ধু।
অনন্যার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে আরিয়ান খানকে গাঁজার যোগান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অনন্যা।
ওই কথোপকথনে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমি ব্যবস্থা করব।’ আর এমন অভিযোগের বিপরীতে আরিয়ানকে গাঁজার জোগান দেওয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন অনন্যা।
অনন্যা বলেছেন, গাঁজা যে কোনো প্রকার মাদক, তা তিনি আমি জানতামই না। আমি নিজে জীবনে কোনোদিন মাদক সেবন করেননি।
তবে হোয়াটঅ্যাপে আরিয়ানকে কেন গাঁজা এনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি?
অনন্যার জবাব, নিছক রসিকতা করে এই কথোপকথন হয়েছিল, আর এ কথা এক বছরের পুরনো। এখন কেন নিয়ে ঘাটাঘাটি চলছে!
শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় এনসিবির গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাকে জেরা করা হয়।
সেখানেই আরিয়ানের মাদককাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের সামনে এসব কথা বলেন অনন্যা।
অবশ্য অনন্যার বিরুদ্ধে গাঁজা সংগ্রহ বা সরবরাহের কোনো প্রমাণ এখনও হাতে আসেনি এনসবিরি।
তবে অনন্যার এসব বক্তব্যে খুশি হয়নি এনসিসি। সোমবারও তাকে তলব করা হয়েছে।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অশোক জৈন জানান, সোমবার সকাল সকাল অনন্যাকে এনসিবির দপ্তরে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন।
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পুরনো কাসুন্দি ঘাটাঘাটি করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি আরিয়ান খানের।
বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরিয়ান। সেখানে আরিয়ান বলেন, আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনকে ‘ভুল এবং অন্যায়’ ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওই পার্টিতে আমার কাছ থেকে কোনো মাদক পায়নি এনসিবির গোয়েন্দারা। ওই পার্টিতে আসা আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ছাড়া আর কারও সঙ্গেই পরিচয় নেই আমার। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে এনসিবি যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার সঙ্গে এই মাদককাণ্ডের কোনো যোগসূত্র নেই। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা