মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকার মঙ্গলবার দুপুরে পিআইও অফিসের কনফারেন্স রুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ও স্বাক্ষরিত একটি লিখিত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য পাঠ করে শোনান বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন বর্তমান গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান গত ০৪/০৮/১৯ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চেয়ারম্যান বৃন্দকে দূর্ণীতিবাজ এবং উপজেলার কর্মরত অফিসার ও কর্মচারীদের সাথে উদ্ধত্যপূর্ণ ও অশোভন আচরণ করে আসছে।
যা সকলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এমনকি তিনি মাসিক সভায় গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রশ্ন করেন আপনি এ মাসিক সভায় কেন? এতে তিনি সবার সামনে বিব্রত বোধ করেন। এতে করে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে বলেও সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন। যার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত উন্নয়নের গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এমনি উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সকল চেয়ারম্যানবৃন্দ অদ্য হতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা দিলারা রহমান অত্র কার্যালয়ে কর্মরত থাকাবস্থায় উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকান্ড হতে বিরত থাকবে। এ সময় উপস্থিৎ জনপ্রতিনিধি গণ উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, আমি কোন অনিয়ম করিনা এবং কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তবে চেয়ারম্যানবৃন্দ আমাকে একটি ফাইলে স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করলে আমি নীতিমালা অনুযায়ী ফাইলটি স্বাক্ষর করবো না বললে চেয়ারম্যানবৃন্দ হয়তো আমার প্রতি খুশি হতে পারেননি। তবে আমি কারো সাথে কখনও আমার কর্মজীবনে কারোর সাথে দূর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করেছি বলে মনে পড়েনা।
গাংনী প্রতিনিধি