গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল আলম (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র, নাতী নাতনী, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন।
কয়েকদিন আগে তিনি তার একমাত্র কন্যা গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের বাসাতে বেড়াতে এসেছিলেন।
রাত ১১টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ অফিস চত্ত্বরে প্রথম নামাজে জানাযা শেষে রাতেই নড়াইল জেলার লোহগড়াতে নিজ বাড়িতে নেওয়া হবে।
সেখানে তার দ্বিতীয় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অফ অনার দিয়ে গ্রামের বাড়িতেই দাফন করা হবে জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
এদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের পিতার ইন্তিকালে মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী ও জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসী ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, ষোলটাকা ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মু.আলম হুসাইন, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম কমল, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস, কাথুলি ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, সহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।