রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার বহুতল ভবন নির্মাণ, গাংনী উপজেলার প্রশাসনিক ভবন, সাব রেজিস্ট্রার ভবন, মসজিদ নির্মাণ, নদী খনন থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, শিশু ভাতা সব কিছুর উন্নয়ন হয়েছে। সাংবাদিকদের উচিৎ সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরা। তিনি বলেন সাংবাতিকতায় দল মতবাদ থাকতে পারে। কিন্তু দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে চিত্রটি তুলে ধরা উচিৎ।
আজ সোমবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ লিংকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়কালে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদ বিশ্বাস পচু, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসু্জ্জামান মঙ্গল, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম।
গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাভেল, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাহাজুল সাজু, মাসুদ রানা প্রমুখ। এসময় গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন আরও বলেন, আমি এমপি হওয়ার আগে গাংনী উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করতে চেয়েছি। আমার স্বপ্ন ছিল প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে আমাদের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এমন স্বপ্ন থেকে মহান জাতীয় সংসদে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় দাবী করেছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাদের জেলাতে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক নির্মাণ ফোর লেনসহ বারবার দাবী করেছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কটি ফোর লেনসহ অনুমোদন দিয়েছেন। যা এখন চলমান রয়েছে। যেসব এলাকার রাস্তা-ঘাটে কাঁদায় চলাচল করা যেতো না সেইসব রাস্তাগুলি এখন পাকা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। মানুষ স্বচ্ছন্দে চলাচল করছে। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি আইন শৃংখলার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এখন গোয়ালের গরু পাহারা দেওয়া লাগেনা। রাতে কৃষকরা তাদের গোঁয়ালে গরু রেখে আরামে ঘুমাতে পারেন।
এমপি খোকন আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা এই সরকারের আমলে আরামে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছেন। কেউ তাদের কাছে গিয়ে চাঁদা দাবী করেনা। জোর জুলুম বা মাস্তানী নেই। এই উপজেলার মানুষ এখন রাজনৈতিক হানাহানি থেকে মুক্ত রয়েছেন।