গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ থাকলেও পাচ্ছেনা রোগীরা। ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগীরা কলেরা স্যালাইন না পেয়ে বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে ক্রয় করে শরীরে পুশ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের। তবে স্টোর কিপার বলছেন কলেরা স্যালাইন আছে।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আবু জায়েদ নামের এক ছয় মাসের শিশু ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার শরীরে কলেরা স্যালাইন দিতে ব্যাবস্থাপত্র করেন। ব্যাবস্থাপত্র নিয়ে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সকে দিলে তিনি কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই নেই বলে ফার্মেসী থেকে কিনে আনতে বলেন। রোগীর মা অন্যের কাছে টাকা ধার করে স্যালাইন কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার দবীরউদ্দীন বলেন, কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই আছে। নার্স তাদের ওয়ার্ডের চাহিদা অনুযায়ী তুলে রাখেন। সে দায়িত্ব নার্সদের। আমার সাথে চাহিদা দিলেই সাথে সাথে ওয়ার্ডে চাহিদা অনুযায়ী ঔষধ সরবরাহ করা হয়।
তাছাড়া বর্তমানে সকল বয়সের মানুষের ডাইরিয়া হচ্ছে একটু বেশি করে চাহিদা দিলে রোগীরা হয়রানী তবেনা। ওই রোগীর সাথে যা হয়েছে তা কিছুটা অবহেলা মাত্র।
গাংনী উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এমকে রেজা বলেন, হাসপাতা সরকারি ঔষধ থাকা সত্বেও নার্স যদি রোগীদের দিয়ে ওষুধ ক্রয়ে বাধ্য করেন তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।