পেশায় তারা চিকিৎসক ও বাংলাদেশ পুলিশ। উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষ তারা। ২৪ ঘন্টায় নিবীড় দায়ীত্ববোধ ও কর্তব্য পালন করাই যাদের পেশা। বিনোদন যেনো তাদের কাছে সোনার হরিণ।
যারা বিনোদন দিয়ে থাকেন তাদের নিরাপত্তা দেন পুলিশ। সেই বিনোদন যেনো বিষাদে পরিণত না হয় সে দায়ীত্বও পালন করেন উভয় পেশার মানুষ। বুধবার গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকালটাতে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ দর্শক।
স্থানীয় একটি যুব সংগঠণের আয়োজনে দর্শক নন্দিত ফুটবল টূর্ণামেন্টে অংশ নেয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র বনাম গাংনী থানা পুলিশ। শুধু দায়ীত্ব আর কর্তব্য নয়, এবার তারাও মাঠে নেমে হাজারো দর্শক মাতালেন চিকিৎসক ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
তার মাঠ কাপালেন ৯০ মিনিট সময় ধরে। চিকিৎসক ও পুলিশের এই ফ্রেন্ডশীপ টূর্ণামেন্টের উত্তেজনায় মেতেছিলেন এলাকার হাজারও দর্শক। মাঠে ছিল দর্শকদের উচ্ছাসিত করতালি আর মূহূর্মহু শ্লোগান। খেলার প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে একটি গোল করে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ও চিকিৎসকের পক্ষে একটি গোল করেন গাংনী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মারুফ। খেলাটি ১-১ গোলে খেলাটি ড্র হলে পরে ট্রাইব্রেকারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খেলার রেফরি।
ট্রাইব্রেকারে গাংনী হাসপাতাল একাদশকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ট্রফি জিতে নেন গাংনী থানা পুলিশ একাদশ। খেলায় গাংনী থানা পুলিশ একাদশের রক্ষনভাগের খেলোয়াড় উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।
খেলা শেষে বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুলসহ অন্যান্যরা। খেলা শেষে বিজয়ী ট্রফি গ্রহণ গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।