যথাযথ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাংনী বাজারে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এবং মেয়র আহমেদ আলীর দেয়া ফেসবুক লাইভের বক্তব্যেও প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ শাহিদুজ্জামান শিপু।
আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শিপু’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহামেদ আলীর ফেসবুক লাইভে অসৌজন্যমুলক দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শাহিদুজ্জামান শিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শিপু বলেন, গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীদের জোর করে উচ্ছেদ করে গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে সেই জমির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম মার্কেট নির্মাণ করতে চাইলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মার্কেট নির্মাণ করতে ব্যার্থ হন। কিন্তু বর্তমান মেয়র আহমেদ আলী ক্ষমতার দাপটে ওই জমিতে জোরপুর্বক মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবী জানিয়ে শিপু বলেন, মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধে আলফারুক বাবুল ইতোমধ্যে আদালতের সরনাপন্ন হয়েছেন। যেহেতু জমিটি সরকারি জমি হিসেবে আমরা জানি। ওই জমি রক্ষার সরকার পক্ষে মালিক জেলা প্রশাসক। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে ।
এসময় সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু বলেন, মেয়র আহমেদ আলী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে সর্বসাকুল্যে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালিক ছিলেন। কিন্তু তিনি দুবার মেয়র হয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওই সব টাকার উৎস কোথায় তা জনস্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)কে অনুসন্ধান করার দাবী করেন।
তিনি আরও বলেন,মেয়র আহমেদ আলী কথায় কথায় আমাকে ‘কাসিনো সম্রাট’ বলে আমার সম্মানের হানি করেন। আমি কোথায় ক্যাসিনো খেলায় সম্পৃক্ত তা প্রমান করতে না পারলে মেয়র আহমেদ আলীর বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করতে বাধ্য হবো। মেয়র আহমেদ আলী আমাকে গাংনী ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে। তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাকে ভয় দেখিয়ে অবৈধ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। মেয়র আহমেদ আলীর। মেয়র আহমেদ আলী নির্বাচিত হওয়ার পর গাংনীতে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে তা উন্নয়নের নামে টেন্ডারবাজিসহ লুটতরাজ হয়েছে। আগামী পৌর সভার নির্বাচনে পৌরবাসী তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবেন। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করার কারনে শিশূকারে আমি পতিৃহারাা হয়েছি। আমার প্রয়াত মামা কামরুজ্জামান বুড়ো গাংনীর মাঠ কাপানো একজন আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। তার জীবনকালে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। কখনো অর্থের লোভ করেনি। আমওি তার আদর্শে লালিত হয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গাংনীর উন্নয়ন চাই। তবে,কারও পেটে লাথি মেরে উন্নয়ন চাইনি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা কারও আহার কেড়ে নেননি। বরং ক্ষুধার্থ মানুষের পেটের আহার জুগিয়েছেন। অথচ মেয়র আহমেদ আলী মানুষের পেটে লাথি মেরে উন্নয়নের গল্প ছাড়াচ্ছেন এবং জমির কাগজপত্র ঠিক না করে মার্কেট নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট,অনলাইন ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।