গাংনী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে মো: মুতালেব হোসেন পাঞ্জাবী প্রতীকে ৮১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কাউন্সিলর বদরুল আলম বদু টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪৭ ভোট। বদরুল আলম বদু’র চেয়ে ২৬৮ ভোট বেশী পেয়ে মো: মুতালেব হোসেন কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
ভোট গণনা শেষে বুধবার (২৭ জুলাই)বিকাল ৫ টার দিকে প্রিজাইডিং অফিসার মাহফুজুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী শফিউল আলম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ২৫০ ভোট ও সানোয়ার হোসেন পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪৯ ভোট।
গাংনী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মোট ২৪৬২ ভোটের মধ্যে ১৬৬১ ভোট পোল হয়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ মার্চ ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকছেদ আলী দৌলদিয়া ঘাটে গিয়ে স্ট্রোক জনিত কারণে মারা গেলে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুণ্য ঘোষণা করেন।
এদিকে মোতালেব হোসেন উপনির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম, এমপি পত্নি ও আওয়ামীলীগ নেত্রী লাইলা আরজুমান বানু, সাবেক ছাত্র নেতা সাহিদুজ্জামান শিপুসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তুরের নেতা কর্মী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের নেতা কর্মীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাংনী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের এই উপনির্বাচন ঘীরে বড় বড় নেতাদের ভোটের মাঠে ছিল সরব উপস্থিতি।
বিশেষ করে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা কর্মী পরাজিত প্রার্থী বদরুল আলম বদুর পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমে ভোট প্রার্থনা করেছেন। দফায় দফায় তারা নিজেদের কর্র্মী সমর্থক ও ভোটারদের নিয়ে খানা করা ছিল দেখার মত। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বদরুল আলম বুদুর পক্ষে ভোটের মাঠে দেওয়া বক্তব্য আবারো ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে সমালোচনাও হয়েছে জোরে সোরে।
এদিকে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মুতালেব হোসেনের পক্ষে মেহেরপুর-২ আসনের এমপি মো: সাহিদুজ্জামান খোকন সমর্থন দিলেও তাকে মাঠে নেমে ভোট করতে দেখা যায়নি। তবে, সাবেক ছাত্র নেতা সাহিদুজ্জামান শিপু ও তার বিশাল কর্মী বাহিনী ছিল ভোটের মাঠে মুতালেব হোসেনের ভোট যুদ্ধে।