লকডাউন ও মাহে রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাংনী বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তরমুজ বিক্রি করে ঠকাচিছলেন ক্রেতাদের। বাজারে তরমুজ ক্রয় করতে এসে নাভিশ্বাস ফেলতে হয়েছে ক্রেতাদের। বেশ কিছুদিন থেকেই তরমুজ ও মাংস ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে উঠে আসে ক্রেতাদের কথা । গাংনী পৌর মেয়র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গতকাল কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সাথে। কিন্তু দাম কমাতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। ৬০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করা হয় তরমুজ। অবশেষে গাংনী পৌরসভার মেয়র অল্প দামে তরমুজ বিক্রির উদ্যোগ গ্রহন করেন। তিনি নিজে বগুড়া এলাকায় গিয়ে তরমুজ সংগ্রহ করেন। সোমবার সকাল থেকে গাংনী বাজার বাস ষ্ট্যান্ডে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রির সুচনা করেন। পৌরসভার স্টাফদের সহায়তায় ৪০ টাকা দরে তরমুজ ক্রয় করতে ভিড় জমায় বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। এসময় তরমুজ ক্রয়করতে আসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুরাদ আলী। তিনি বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গাংনীতে সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করা হয় তরমুজের। গাংনী পৌরমেয়রের এ উদ্যোগ যথাউপযোগী উদ্যোগ। গাংনী পৌরবাসী ছাড়াও সব মানুষ অল্প মুল্যে তরমুজ খেতে পারবে। তবে তিনি আরো একটু মুল্য কমানোর দাবী করেন। এসময় তরমুজ ক্রয় করতে এসেছিলেন কাচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম। তিনিও এ পদক্ষেপকে সময়উপযোগী পদক্ষেপ বলে সাধুবাদ জানান পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীকে। এদেরমত বিভিন্ন এলাকা থেকে আাগত ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে শুধু তরমুজের বাজার নয় গাংনী বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাংতে মেয়র আহম্মেদ আলীর প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে ৩০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করার দাবীও জানান ক্রেতারা।
পৌরসভার স্টাফ টিক্কা বিশাস জানান, পৌরবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে মেয়র সাহেব নিজে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তরমুজ সংগ্রহ করে তা আজ বাজারজাত করেছেন। পুরো রমজান মাস এ মুল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রম আব্যাহত থাকবে।
মেয়র আহম্মেদ আলী বলেন, গাংনীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো সিন্ডিকেট থাকবেনা। তরমুজের পাশাপশি মাংসের বাজারেও পৌরসভার পক্ষ থেকে নজদারী থাকবে। আমরা সকলেই ক্রেতা। আমার পৌরসভার একটি মানুষও ব্যাবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় সে বিষয়েও আমরা দৃড়তা ও সাহসিকতার সাথে কাজ করছি।