গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের বহুল আলোচিত পরিচালক আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এবার সাজ্জাদ হোসেন নামের একজন অভিভাবক ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার মেয়ে ফারজানা সাজ্জাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে গেলে অতিরিক্ত ২৪ শ টাকা দাবী করে প্রবেশপত্র আটকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) দেওয়া লিখিত অভিযোগের অনুলিপি গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও মেহেরপুর প্রতিদিনকেও দিয়েছেন অভিযোগকারী সাজ্জাদ হোসেন।
লিখিত অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার মেয়ে ফারজানা সাজ্জাদ গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার স্কুলের বেতন পরীক্ষার ফিস ও অন্যান্যসহ সমস্ত বকেয়া পরিশোধ আছে। আমি আমার মেয়ের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনার জন্য সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আবুল কাসেমের কাছে যায়। প্রবেশপত্র চাইলে তিনি অতিরিক্ত ২৪ শ টাকা দাবী করেন। তার দাবীকৃত ২৪’শ না দিলে প্রবেশপত্র দেবেনা বলে জানান তিনি। এই টাকা কেনো চাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে বলেন আমি প্রবেশপত্র বাবদ ২৪ শ টাকা পেয়ে থাকি। তোমাকেও ২৪ শ টাকা দিতে হবে। আমি গরীব মানুষ অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই। মেয়ের পরীক্ষা পাওয়ার জন্য সাজ্জাদ হোসেন ইউএনও’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানায় বিদ্যালয়ের একটি সূত্র।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাজ্জাদ হোসেন নামের এক অভিভাবক এই অভিযোগ ইউএনও স্যারকে দিয়েছে। তারই অনুলিপি আমাকে দিয়েছেন। আমি সাথে সাথে সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আবুল কাসেম সাহেবকে ফোন দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষক তার শিক্ষা সনদ ও বকেয়া বেতন পরিশোধ না করার কারণে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহকারি বজলুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি ডকেট করে ইউএনও স্যারের বরাবর পাঠানো হয়েছে।