একের পর এক চিকিৎসা সেবাই নিয়োজিতদের নাচ, লুডু খেলাসহ নানা কর্মকান্ডের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এবার ভাইরাল হয়েছে মেহেরপুরের গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাফিজা ও অফিসের বড়বাবু লিটনের নাচ। নার্স রাফিজা নেচেছেন আর তারই সহকারী মোবাইলে তা ভিডিও করেন। এ ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াসহ আমাদের প্রতিনিধির হাতে এসে পড়ে।
জানা গেছে, কয়েকমাস আগে একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী অংশ গ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে নাচ করেন নার্স রাফিজা ও বড়বাবু আসাদুল ইসলাম লিটন। ভিডিও করেন নার্স আমেনা। পরে ওই ভিডিও ক্লিপটি ফেসবুকে চলে যায়। সাথে সাথে চলে আসে বিভিন্ন হাতে। মুহুর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি।
ভিডিওটি দেখার পর নানা জনে নানা মন্তব্য করেছেন। অনেকেই নার্সদের এ নাচ ভাল চোখে গ্রহণ করেননি। বিরুপ মন্তব্যে তোপের মুখে পড়েন নার্স রাফিজা ও বড়বাবু লিটন। কেউ কেউ বলেছেন, করোনা মহামারীর সময় নার্স আর বড়বাবুর এমন নাচ করে উল্লাস প্রকাশ হীণ মন মাসিকতার পরিচয়। আবার একটি সুত্র বলেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলীতে উল্লাস প্রকাশ করে নাচ করেন বড়বাবু ও নার্স রাফিজা। লিটনের সাথে অন্যরকম সম্পর্ক আছে বলেও মন্তব্য করতে ছাড়েননি স্থানীয় লোকজন। ইতোমধ্যে লিটনের বদলী হয় মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আসাদুল ইসলাম লিটন বলেন, আমাদের অফিসে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে অনেকেরই অনুরোধে নেচে ছিলাম। সে নাচ আমেনা সিস্টার তার মোবাইলে ভিডিও ধারন করেন এবং তা হিংসাত্বক মনোভাব নিয়ে আমাদের ফাসানোর জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে সরবরাহ করে। বিষয়টি অফিসিয়াল নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে।
নার্স রাফিজা জানান, কোন হীণ মানসিকতার বা উল্লাস প্রকাশের জন্য নাচ করেননি তিনি। একটি অনুষ্ঠানে নাচ করেছিলেন আর তার সহকর্মী সেটি ভিডিও করেন। এ নাচ এভাবে ভাইরাল হবে সেটা তিনি বুঝতে পারেন নি।
নার্স বড়বাবুর নাচের ভিডিও টক অব দ্য উপজেলায় পরিনত হয়েছে।