গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের সমাবেশস্থলে দুপক্ষের নেতা কর্মীলাদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে পৌছানোর আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে মহিবুল ইসলাম(৪৫)নামের সাবেক এক সেনা সদস্য মারাত্বক আহত হয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রে ভর্তি হয়েছেন। এসময় সমাবেশস্থলে ব্যাপক চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অঅজ রোববার (১০এপ্রিল) বেলা তিনটার সময় গাংনী হাইস্কুল মাঠে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একটি সূত্র মতে জানা গেছে, কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী ডাক্তার নাজমুল হক সাগর কিছু কর্মী সমর্থক সাথে নিয়ে মঞ্চের সামনে এসেই হট্টগন্ডগোল শুরু করেন। এক সময় তার কয়েক জন কর্মী বর্তমান সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনকে উদ্যেশ্য করে নানাভাবে কটুক্তি ও গালিগালাজ করে। এসময় সংসদ সদস্যের কর্মী সমর্থকরা প্রতিবাদ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় উচ্ছৃংখল কর্মী সমর্থকরা মঝ্চের সামনে থাকা প্রায় অর্ধ শত চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল তাদের নিয়ন্ত্রণে নেন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে আসার আগেই স্থানীয় দুটি পক্ষের নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে আবারো সমাবেশ শুরু হয়।
এব্যাপারে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ডাক্তার নাজমুল হক সাগর সমাবেশ স্থলে এসেই তার উচ্ছৃংখল লোকজন দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করেন। তিনি তো গাংনীর রাজনীতির সাথে কখনো ছিলেন না। হঠাৎ সভাপতির পদ নেওয়ার জন্য এত উঠে পড়ে লেগেছেন উনি। মানুষের সাথে ঠিকমত না মিসেই এভাবে আওয়ামীলীগের মত একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের পদ পাবেন এটা ভাবতেই তো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আজকে উনি লোকজন দিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরী করেছেন এতে করে তো আগামী দিনে একটা বাজে পরিস্থিতি তৈরী করবেন উনি।
এব্যাপারে নাজমুল হক সাগরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে উনি কাউন্সিল অধিবেশনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভিাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেছেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে পদপদবীর জন্য চেষ্টা সবাই করতে পারেন।কিন্তু জনগণের পাশে না থাকলে তাদের মেনে নেবে কেনো। সভাচলাকালিন সময়ে সভাপতি প্রত্যাশী একজন প্রার্থী তার কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে সমাবেশ স্থলে এসেই অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরী করলেন।তার কিছু উচ্ছৃংখল লোকজন দিয়ে সমাবেশ বাঞ্চালের চেষ্টা করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামীলীগের তৃণমুল থেকে আসা লোকজন তাদের নিবৃত্ত করেছেন। আজকের কাউন্সিল অধিবেশন সমাবেশে গাংনী থানা পাড়া এলাকার মহিবুল ইসলাম নামের সাবেক একজন সেনা সদস্য একটি উচ্ছৃংখল পরিবেশ তৈরী করলে স্থানীয় নেতা কর্মী তাকে প্রতিহত করেছে শুনেছি।