আবারো সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের প্রচার মাইক ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে যুবলীগের নির্বাচনী পথসভা থেকে সতন্ত্র ও বিএনপির প্রার্থীদের প্রতিহত করার ঘোষনার ঘন্টা পার না হতেই প্রচার মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে গাংনী বাজার রেজাউল চত্বরে যুবলীগের পথসভা থেকে ঘোষনা করা হয় বিএনপি ও সতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিহত করা হবে। পথসভাটি সন্ধ্যার দিকে শেষ হলে এশার আজানের পর শহীদ রেজাউল চত্বরের অপর দিকে এ মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রচার মাইকের ভ্যান চালক বাশবাড়ীয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মোঃ সেলিম জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে মেহেরপুরের দিকে যেতে গাংনী বাজারের আমিরুল মার্কেটের সামনে দিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের (জগ) মার্কা প্রতীকের প্রচারনা চলছিল। এসময় কয়েকজন লোক মাইক ভেঙ্গে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।
সতস্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার মাইক ভাংচুর করা হয়। আবারো আজ রোববার এশার আজানের পর গাংনী বাজারে আমার (জগ) মার্কার প্রচারনা চলছিল। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজন আমার প্রচার মাইক ভাংচুর করে।
আমি গতকালের ভাংচুরের বিষয়ে লিখিত পাঠিয়েছি বিভিন্ন দপ্তরে। আজকের ঘটনাটিও জেলা নির্বাচন ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ আলী জানান এমন কোন ঘটনা আমার জানা মতে ঘটেনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, শনিবার বিকেলে একটি মাইক ভাংচুরের ঘটনা আমার দপ্তরে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। আজকের কোন ঘটনা আমার নিকট এখন পযর্ন্ত লিখিতভাবে কেউ জানায়নি।
রোববার বিকেলে যুবলীগ আয়োজিত পথসভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক। এসময় জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মি।