মেহেরপুরের গাংনীতে গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও মারধরে অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আলী হোসেন ও তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে উপজেলার কাষ্টদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে গ্রাম পুলিশ শ্রী দূর্গা চরণ দাস মেহেরপুরের পুলিশ সুপার ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শ্রী দূর্গা চরণ দাস ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত রয়েছে। সে কাষ্টদহ গ্রামের অমূল্যে দাসের ছেলে।
গ্রাম পুলিশ শ্রী দূর্গা চরণ দাস জানান, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের (বানিয়াপুকুর-কাষ্টদহ) সদস্য মো: আলী হোসেন ঘটনার রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ির পার্শে ডেকে নেয়। এরপর পুলিশকে কেন সহায়তা করিস এমন কথা বলতে বলতে ইউপি সদস্য আলী হোসেন ও তার সাথে থাকা হত্যা,ডাকাতি,অপহরণ ও অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলার আসামী কাষ্টদহ গ্রামের সামছুলের ছেলে লিল্টু। একই গ্রামের মোমিন আলীর ছেলে মিনা হোসেন, জিনারুল ইসলাম, আবু বক্করের ছেলে লাল্টু, ইউনুছ আলীর ছেলে হাউস, ইয়াকুবের ছেলে ইয়ামিন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং ৭ হাজার টাকা ও ২টা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
গ্রাম পুলিশ শ্রী দূর্গা চরণ দাস আরো জানান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে পরিবার নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
হিন্দু ঐক্য পরিষদের গাংনী উপজেলা সভাপতি শ্রী ধিরেন দাস জানান, গ্রাম পুলিশ শ্রী দূর্গা চরণ দাস সে সরকারী চাকুরী করে। সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোন ভাবেই সংখ্যালঘু নির্যাতন মেনে নেয়া হবেনা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিতে হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে ব্যার্থ হলে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচী দেয়া হবে।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো: আলী হোসেন জানান, হামলা লুটপাটের সাথে আমি জড়িত নয়। বরং আমি গ্রাম পুলিশ শ্রী দূর্গা চরণ দাস কে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কারা হামলার সাথে জড়িত জানতে চাইলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
মেপ্র/ নিজস্ব প্রতিবেদক