মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইট ভাটাগুলোতে দেদারছে চলছে কাঠ পোড়ানোর প্রতিযোগিতা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতে রয়েছে প্রায় ৪৯টি ইট ভাটা প্রতি ইটভাটায় দিনে ৫শ’ মণ এর উপরে অর্থাৎ গাংনীর সবগুলো ইটভাটায় দিনে প্রায় ২৫ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হয়।
শুধু তাই নয় ইটভাটায় করাত কল বসিয়ে কাঠ ফাড়ায় করে তা ভাটাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভাটা মালিকরা দেদারছে কাঠ পোড়ানোর, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এর আগে ব্যারেল চিমনিতে কাঠ পোড়ানো ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার কারণে সেগুলো বন্ধ করতে সক্ষম হলেও ফিক্সড চিমনিতে কাঠ পোড়ানো এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে দেদারছে কাঠ পোড়ানোর কারণে উজাড় হচ্ছে দেশের বনভূমি। তাছাড়াও ফসলি জমির উপরও গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এতে করে শুধু পরিবশই নয় ফসলি জমিও পড়েছে হুমকির মুখে।
একটি সুত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে দেশে সরকারি ও ব্যাক্তি গতভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন বেড়ে যায়। যে কারণে শীত মৌসুম এলেই ইটভাটা গুলো চালু করা হয়। এমনকি এসময় অনেকে নতুন নতুন ইটভাটাও চালু করে। যে কারণে খুব সহজেই ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করা সম্ভব নয়।
গাংনীর হিজলবাড়িয়া গ্রামের একটি ইটভাটা মালিক মুকুল সে তার ইটভাটায় রিতিমত করাত কল বসিয়ে কাঠ ফাড়ায় করে তা ঐ ইটভাটায় ব্যবহার করছে।
যদিও যেখানে সেখানে করাত কল বসিয়ে কাঠ ফাড়ায় করা নিয়মে নাই তার পরও তারা এ কাজ করে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঐ ইটভাটার ম্যনেজার আব্দুল হাই জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিবেশ ছাড়পত্র চাইলেও সংশ্লিষ্টরা দেয়না। যেহেতু ব্যবসা করতে হবে তাই বাধ্য হয়ে আমাদের এ কাজ করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, এর আগে আমরা ব্যারেল চিমনি ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ফিক্সড চিমনিতে যে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সেটাও আমরা বন্ধ করতে সক্ষম হব। তবে কিছুটা সময় লাগবে।
কারণ এ সময় বছরের শুরুতে সরকারি বেসরকারি ভাবে অবোকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলে। হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়াটা সম্ভব হয়না।
তিনি বলেন, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতিকে ডেকে এ বিষয়ে তাকে জানানো হবে।
মেপ্র/আরপি