মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকার নুর মোহাম্মদ নামের এক গ্রাহকের চলতি ফেব্রুয়ারী মাসে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিদ্যুৎ বীল এসেছে। এই বিরাট অংকের বিদ্যুৎ বীল নিয়ে ওই ব্যবসায়ী এখন পড়েছেন বেকায়দায়।
গাংনী পৌর সভার হাসপাতাল বাজার এলাকার মিটার নং ১৩৪/৮২৪০ এর মালিক নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, ২০১৩ সালে মিটারটি তিনি আবাসিক হিসেবে নিলেও পরবর্তিতে সেটি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মাধ্যমে বানিজ্যিক সংযোগ হিসেবে হিসেবে রুপান্তরিত করে নেন।সেভাবেই প্রতি মাসে বীল দিয়ে আসছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য হঠাৎ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বীল প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ, সংযোগটির ডিসেম্বর/২১ মাসের বিদ্যুৎ বীল ছিল ৩৬০ টাকা ও জানুয়ারী/২০২২ বিদ্যুৎ বীল ছিল ৪১৬ টাকা।
মিটারটির ব্যবহারকারী রানা বেডিং এর মালিক সোহেল রানা জানান, আমার প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বীল আসে ৩ শ থেকে সাড়ে ৪ শ টাকার মধ্যে। হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিদ্যুৎ বীল দেখার পরে আজ (শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী)আমি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর গাংনী জোনাল অফিসের ডিজেএমের সাথে দেখা করি। তিনি বলেছেন, সংযোগের মুল মালিককে যোগাযোগ করতে বলেন।তিনি আরও বলেছেন আমি এই সংযোগটি ব্যবহার শুরু করলে প্রথম মাসে মিটার রিডাররা আবাসিক বীল হিসেবে লিখলেও পরের মে মাস থেকে তারা নিজেরাই বাণিজ্যিক মিটার হিসেবে বীল লিখে যেতো।
তবে, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবুল কাশেম বলেছেন, গ্রাহকের সংযোগটি ২০১৩ সালে নেওয়া। এই সংযোগটি আবাসিক সংযোগ ছিলো। পরে সংযোগটি বানিজ্যিক হওয়ায় ঢাকার অডিট আপত্তি-৭ জরিমানা/ ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৯ হাজার ১৭৬ টাকা এবং বাণিজ্যিক বীল হিসেবে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা ৩০ পয়সা দাম ধরে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা এসেছে।
২০১৩ সালে বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ বীলের দাম ১০ টাকা ৩০ পয়সা ছিল কিনা এবং এতদিন আবাসিক গ্রাহক বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কি ভূমিকা রেখেছেন এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেছেন।