মেহেরপুরের গাংনীর মহাম্মদপুরের সাত গরু ব্যাবসায়ীকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে পটকাবাজি করে আতংকিত করে স্থানীয়দের।
ঢাকার হাজারিবাগে নেশা জাতীয় খাবার খাইয়ে সাত ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে টাকা লুটের ঘটনায় তিন ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত করে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ প্রত্যাহার করাতে ভয়ভীতি দেখাতে এ পটকাবাজি দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, পুরাতন মটমুড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে বিদ্যুৎ আলী, মহাম্মদপুরের ইসমাইলের ছেলে কামাল হোসেন, তার ভাই লালন হোসেন, সিরাজের ছেলে বাবু ও তার ভাই ছোরু মিয়া, রহিদুল ইসলাম, আলিমুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক, জামিরুলের ছেলে আনারুল, মোশারফের ছেলে আসমত আলী এবং আইযুবের ছেলে নামজুল সহ ১০ জন গরু ব্যবসায়ী মোট ১৯ টি গরু নিয়ে ট্রাক যোগে ঢাকায় যান গত ২৭/০৭/২০২০ তারিখে।
ঢাকাস্থ হাজারিবাগ পশু হাটে গরু বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা অবস্থান করেন। কয়েকদিন ধরে একই সাথে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করতেন তারা। ২৯ তারিখে তাদের সমস্ত গরু বিক্রি হয়ে যায়। ওই দিন দুপুর বেলা ১০ জন ব্যবসায়ীর খাবারের জন্য খিচুড়ি রান্না করেন। গরু ব্যবসায়ী সাত জন খাবার খেলেও তিনজন খিচুড়ি না খেয়ে অবস্থান করেন সেখানে। কিছুক্ষণ পর খাবার খাওয়া সাতজন ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান হওয়া সাত ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে আসে মহাম্মদপুরের রহিদুল, বাবু ও ছোরু মিয়া।
পরে হাজারি বাগ এলাকার থানা পুলিশ সাতজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন। পরের দিন বাড়ি ফিরে আসেন সাত ব্যাবসায়ী। টাকা ফেরত পেতে পরের দিন গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
টাকা লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগকারিদের ভয়ভীতি দেখাতে সোমবাবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় মজিবুলের চায়ের দোকানে বিকট শব্দে পটকাবাজি ঘটানো হয় বলে জানান গরু ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ও সিদ্দিকুর। এলকাবাসি হয়ে পড়ে আতংকিত।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল আলিম বলেন, ককটেল বিষ্ফোরণ হয়েছে এমন কথা শুনে সেখানে গিয়ে জানতে পারি কেউ হয়তো শয়তানি করে পটকাবাজি করেছে। সাতজন ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষের লোকজনকে নিয়ে থানায় বসেছি। তবে টাকা লুটের ঘটনার সত্যতা রয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে।
গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এক ব্যাবসায়ী। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শিকার করছে না। তবে ক্ষতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।