মেহেরপুরের গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে গৃহবধু নাসিমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠলেও শেষ পর্যন্ত অপমৃত্যু’র মামলা করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে অপমৃত্যু’র মামলাটি দায়ের করেন। নাসিমার মৃত্যু’র পর থেকে শাকিল পলাতক রয়েছে। গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,নাসিমা খাতুনের মরদেহের সুরত হাল শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রতিবেদন আসলে তখন হত্যা মামলা নেয়া হবে। নিহতের স্বজনরা জানান,নাসিমা খাতুনের লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নাসিমার করুন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে অসহায় পরিবারটিতে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি যথাযথ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক। কোন অপশক্তির কালো থাবায় যেন তদন্ত ও ন্যায় বিচার থেকে নাসিমার স্বজনরা বঞ্চিত না হয়।
উল্লেখ্য: গত রবিবার সকালে চেংগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়ার শাকিলের বিরুদ্ধে যৌতুক না দেওয়ায় তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। নিহত গৃহবধু নাসিমা খাতুন চেংগাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ বাবুর মেয়ে।
নাসিমা ১ বছর পুর্বে চেংগাড়া গ্রামের শাকিলের সাথে তার মেয়ে নাসিমার বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করে আসছিলো। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ও শাকিলের পরোকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার কারনেই নাসিমা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।