‘গোদ রোগে যত্ন নিলে বিকলাঙ্গতা থেকে মুক্তি মেলে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাংনীতে উপজেলা পর্যায়ে গোদ রোগের উপর সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে লেপ্রা বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার যৌথ বাস্তবায়নে এবং এসেন্ড প্রকল্প, ইউকেএইড এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ১ দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উদ্বুদ্ধকরণ সভায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. রিয়াজুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আলাউদ্দীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই হামিদুল ইসলামের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গোদ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সম্যক ধারণা তুলে ধরা হয়। লেপ্রা বাংলাদেশের দেয়া তথ্যানুযায়ী গাংনী উপজেলায় বর্তমানে ১৭ জন গোদ রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ রোগী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা.সাদিয়া সুলতানা, ডা. তরুরাজ দাশ,
বিশিষ্ট ছড়াকার সহকারী অধ্যাপক রফিকুর রশীদ রিজভী, লেপ্রা বাংলাদেশ এর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন, পিএসকেএস’র প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিনিধি আখতারুজ্জামান, ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম প্রমুখ।
সভায় সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।