মেহেরপুরের গাংনীতে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকালে গাংনী ফুলকুড়ি স্কুলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, ও থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিূুর রহমান মিন্টু, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাংস্কৃতিক কর্মী হামিদুল হক হিল্লোল, জাগো মেহেরপুরের অন্যতম কর্ণধার শোয়েব রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নবীরুদ্দীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শাহ, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সুর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগী, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, ফুলকুড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুদ্দোজা লাল্টু, সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজিজুল ইসলাম রানু, জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাবা মা ও স্ত্রী উপস্থিত হওয়ার অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণ বিভিন্ন রকম খাবার বিশেষ করে চিড়া দই, রসগোল্লা সহ বিভিন্ন রকম পিঠা উপস্থিত সবাইকে খাওয়ানো হয়। করোনার পৃর্বে এ অনুষ্ঠানটি চালু ছিল আনখা নামে। করোনা মহামারির কারণে বেশ কয়েক বছর অনুষ্ঠানটি বন্ধ থাকলেও এবার আবার নুতন করে বাংলা বছরের শেষ দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে গাংনীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালি শিরোনামে একটা চমৎকার ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পরিবারসহ এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে এমন অনেক শিক্ষার্থী ও ফুলকুড়ির সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এ জাতীয় একটি অনুষ্ঠান করায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। বাঙালির হারিয়ে যাওয়া পদ্ম পাতাতে চিড়া সহ সহ বিভিন্ন আয়োজনে সবাই উচ্ছাস প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত করার জন্য আহবান জানান অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কে।