বিদ্যালয়ে এক দিনের অনুপস্থিত হওয়ার জন্য লাভলী খাতুন ও শাহানাজ আক্তার নামের দুই ছাত্রীকে ছড়ি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করলেন শিক্ষক। লাভলী খাতুন গাংনী উপজেলার দেবীপুর ডিজিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ও ওই গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে, শাহানাজ খাতুন একই ক্লাসের ছাত্রী ও দেবীপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে।
আজ বুধবার (১৭ মে) সকাল ৯ টার দিকে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় হোমিওপ্যার্থী ডাক্তার শরীফুল ইসলাম জানান, লাভলী খাতুন ও শাহানাজ খাতুন নামের ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলো। আজ সকালে বিদ্যালয়ে আসলে তাদের কাছ থেকে ২০ টাকা ফাইন চান শিক্ষক জসিম উদ্দীন। তারা ফাইন দিতে না পারায় স্কেল দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে। এক পর্যায়ে লাভলী খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরোক হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছান।
ইউপি সদস্য হিরোক জানান, আমি শুনেছি দুই ছাত্রীকে স্কেল দিয়ে পিটিয়েছে। তবে, একটা মারেই নাকি তার মাথা ঘুরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসেছি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বাকী বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। গাংনীতে ছিলাম। খবর পেয়ে বর্তমানে স্কুলে এসেছি। আমার সাথে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আছেন। এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আছেন একটা সুরাহা হয়ে যাবে। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য ২০ টাকা করে ফাইন নেওয়া ও ছড়ি ব্যবহার করে মারপিটের কোনো অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে কড়া হুশিয়ারী দেওয়া আছে। ফাইন নেওয়ার কোনো বিধান নেই। আমি এই বিষয়ে কোনো অনুমোদনও দিইনি।
এব্যাপারে ডিজিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।