মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি বাজারে জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা চোর সর্দার ও সহযোগিদের গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে স্বর্ণ ও রোপার গহনা উদ্ধার করা হয়েছে ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে মুজিবনগর থানা এলাকা থেকে চোর সর্দারসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সুলতান বাদশা (২২),মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ফজল হক (৪০), একই উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নোমান (২০) ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নান্টু মিয়া (৩০)।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে উপজেলার করমদি গ্রামের বাবু নামের একটি জুয়েলারির দোকান থেকে সোনা ও রুপার গহনা চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় মাসুদ রানা (বাবু) বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পুলিশ মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে ২ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে মুজিবনগর থানা এলাকা থেকে চোর সর্দার বাদশাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় তাদের নিকট হতে চুরি যাওয়া ৩ রতি পাকা সোনা ২৪ পিস নাকফুল এবং ১০ ভরি রুপার গহনা উদ্ধার করা হয়। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, বাদশা পারিবারিক বিরোধের জেরে গত বছরের ৩১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার শাশুড়ি করমদী গ্রামের মাঠপাড়ার শওকত আলীর স্ত্রী রঙ্গিলা খাতুনকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় আহত হন বাদশার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিনি খাতুন। ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও ওই রাতেই করমদী গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও চুরি-ডাকাতিতে নামেন।