জোরপূর্বক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মানের প্রতিবাদ ও প্রাচীর নির্মান কাজ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনীর শিশিরপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাবে মোতালেব হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জমি দখলের বিভিন্ন অভিযোগ করে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে মোতালেব হোসেন বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ থেকে ৮৯ শতক জমি ক্রয় করেন গাংনী উপজেলা চেংগাড়া গ্রামের আজিজুল। তার রেজিস্ট্রিকৃত জমির দাগ নং ৩৭১, ৩৭৫, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৩২৯। দলিল অনুযায়ী তার জমি র্পাঁচ দাগ থেকেই নিতে হবে। কিন্তু আজিজুল গং জোরপুর্বক দখল করেছেন ৩৭৫, ৩৭৬, ৩৭৭ দাগ থেকে। এ তিনটি দাগের জমি শিশিরপাড়া গ্রামের ঝিনেরপুলের কাছে পাশাপাশি।
ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (গাড়াডোব) তহশীলদার জাকির হোসেন ও গাংনী ভূমি অফিসের সহকারী শাহজাহানকে ম্যানেজ করে আজিজুলের কেনা জমি খারিজ সম্পাদন হয়েছে। যা অবৈধ ভাবেই সম্পাদন করা হয়। খারিজের সময় জমির অন্যান্য অংশিদারদেরকে লিখিত বা মৌখিক নোটিশ দেওয়া হয়নি।
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গোপনে খারিজ করা হয়েছে বলে আমারা মনে করছি। এই অবৈধ খারিজ বাতিলের জন্য আমরা গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেছি।
কিন্তু খারিজ বাতিলের বিষয়ে তহশিলদার জাকির হোসেন দিনের পর দিন আমাদেরকে হয়রানি করছেন।
ওই জমির এসএ এবং আরএস রেকর্ড আমার নামে (মোতালেব হোসেন) থাকা সত্তেও লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা জোপুর্বক প্রাচীর নির্মান করছে আজিজুল গং। আমরা বাধা দিতে গেলে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
শুধু ভূমি অফিসে নয় আদালতেও মামলা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন বলেন,
আদালতে বিচারাধীন মামলা দুটির মধ্যে দেওয়ানী ১৩৫/১৯ এবং ফৌজদারী মামলা ৪৪৫, পিটিশন নং ৩২৩/১৯। যেখানে মামলা বিচারাধীন সেখানে তারা শুধুমাত্র গায়ের জোরেই প্রাচীর নির্মান করছেন। পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের পৈত্রিক জমির জবর দখল করছে।
-গাংনী প্রতিনিধি