মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষিনারায়ণপুর ধলা গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনায় সদস্য প্রার্থী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানকে কে প্রধান করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের ভাই বেল্টু মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেড়টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। গ্রেফতার এড়াতে প্রধান আসামী আতিয়ার রহমানসহ সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
গত ৮ নভেম্বর রোববার সকালের দিকে কাথুলি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী আজমাইন হোসেন টুটুল পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভোট চাইতে যান। ফিরে আসার সময় প্রতিপক্ষ মেম্বর প্রার্থী আতিয়ার রহমানসহ তার ভাই মহব্বত আলীর নেতৃত্বে আরও কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় তারা আজমাইন হোসেন টুটুলকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করেন।
খবর পেয়ে টুটুলের মামাত ভাই সাহাদুল ইসলাম ও জাহারুল ইসলাম তাকে বাঁচাতে ছুটে যায়। সেখানেই জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তাদের উদ্ধার করতে গেলে আরো ১৫/২০ জনকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে নিহতদের অপর ভাই এনামুল ইসলাম নইলুকে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই মাইলমারী গ্রামের রাস্তার উপর রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২০০৯ সালে অপর ভাই সেন্টু হোসেনকে শালিস বৈঠক চলাকালে কুপিয়ে হত্যা করে। মেম্বর প্রার্থী হলে আজমাইন হোসেন টুটুলকে ও হত্যা করার আগাম হুমকী দিয়েছিলে আতিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল বৃস্পতিবার গাংনী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাথুলি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামে বর্তমান সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল ও সাবেক সদস্য আতিয়ার রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফসিল ঘোষনার পর থেকেই গ্রামের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আতিয়ার রহমান প্রতিপক্ষ টুটুলকে হত্যা করারও ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন টুটুলের পক্ষের লোকজন। সাহাদুল ও জাহারুল জোড়া খুনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হলো সে হুমকী।