গাংনীর বেতবাড়িয়া গ্রামে শ্যালিকার সাথে পরোকিয়া প্রেম করে গুনলেন দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড। গ্রাম্য শালিসে স্থানীয় ইউপি সদস্যের শালিস বিচারে এ অর্থদন্ড করা হয়। শালিস বৈঠক চলাকালিন সময়ে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন।
কাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সদস্য সাইদুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বিকালে তার নিজ বাড়ি বেতবাড়িয়া এ শালিস বৈঠক করেন। শালিসে জরিমানার সমস্ত টাকা ভূক্তভোগী নারীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মেম্বর সাইদুল ইসলাম।
জানা গেছে, বেতবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার সাহাবুল ইসলাম তার স্বামী পরিত্যক্তা শ্যালিকা মমতাজ বেগমকে পরোকিয়া প্রেমের কারণে ৭ দিন আগে বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশ্যে চলে যায়। পরে সাহাবুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে চাপ প্রয়োগ করে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন গ্রামের মেম্বর ও প্রধানরা।
শুক্রবার বিকালে কাজিপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলামের বাড়িতে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে কাজিপুর ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বরফ ল চাঁদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শালিসে সাহাবুল ইসলামকে দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড করেন মেম্বর সাইদুল ইসলাম। শালিস বৈঠক চলাকালিন সময়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে কাজিপুরের গ্রামের লোকজনকে পেটাতে থাকে বেতবাড়িয়া গ্রামের লোকজন।
এঘটনায় অন্ত ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেম্বর সাইদুল ইসলাম জানান, সাহাবুল ইসলাম মমতাজ খাতুনের দুলা ভাই। তার বড় বোন মনিরা খাতুনের সংসার করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জরিমানার দেড় লাখ নিয়ে সে বাবার বাড়ি কাজিপুর গ্রামে ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, মমতাজ বেগমের বিয়ে হয়েছিল বেতবাড়িয়া গ্রামের সমুন হোসেন নামের এক জনের সাথে। দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তার সংসার টেকেনি। পরে বোন মনিরার স্বামী সাহাবুল ইসলামের সাথে পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘর বাঁধার জন্যই দুজন দুজনার হাত ধেরে বাড়ি ছেলে পালিয়ে যায়।