মেহেরপুরের গাংনীতে ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী তাপসীর সন্তানের পিতার পরিচয় মিলছে না। পিতার পরিচয় সনাক্ত করতে বানারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করা হলেও তার সাথে মিলছে না শিশুর পিতৃ পরিচয়। এ নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে।
তাপসী খাতুন কাথুলী ইউনিয়নের রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে ও বানারুল একই গ্রামের রাহিল উদ্দীনের ছেলে।
তাপসীর মা ফিরোজা খাতুন জানান, তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে তাপসীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেশী বানারুলের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৮। তাং ০৬.০৮.২০২০ ইং। মামলায় কয়েক মাস জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে ধর্ষক বানারুল ইসলাম।
গত ৬ নভেম্বর রাতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তাপসী একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেও বানারুলের সাথে তাপসীর কন্যার ডিএনএ টেস্ট মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে তাপসী বাকপ্রতিবন্ধী হলেও আদালতসহ সকলকে জানিয়েছে বানারুল তাকে ধর্ষণ করেছে। বানারুল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে সে মামলা তুলে নেয়াসহ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
বাকপ্রতিবন্ধী তাপসীর নানী আনোয়ারা খাতুন জানান, প্রতিবেশী রহিল উদ্দীনের ছেলে বানারুল তাপসীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কারণে গর্ভবর্তী হয়ে সন্তান প্রসব করেছে তাপসী। আমরা দরিদ্র মানুষ তিন বেলা আমাদের ভাত জোটে না। বিচার না পেলে স্ব পরিবারে মৃত্যু ছাড়া কোন পথ নেই তাদের।
তাপসীর মামাতো ভাই মকলেচুর রহমান জানান, মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বানারুল কতিপয় সমাজ পতিদের নিয়ে নানা অপপ্রচার করছে। এদিকে ধর্ষণ মামলার আসামি বানারুল ইসলাম দাবী করেছেন তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুমন জানান, মামলার আসামি বানারুলের সাথে শিশুর ডিএনও টেস্টে মিল নেই। এ কারণে তাপসীর সাবেক স্বামীর ডিএনও টেস্ট করা হবে।
এছাড়া তাপসী আদালতকে জানিয়েছে, বানারুল তাকে ধর্ষণ করেছে। তাপসীর সন্তানের সাথে বানারুলের ডিএনও টেস্টে মিল না হলেও ধর্ষণের সাথে বানারুল জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। মামলার তদন্ত শেষ করতে আরো কিছু সময় লাগবে।