ইফতার শেষে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় হামলা চালিয়ে নারীসহ ৪ জনকে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।
আহতরা হলেন গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের খেদ আলীর ছেলে শাহিন (৪০), মখলেছুর রহমানের স্ত্রী তহমিনা খাতুন (৫০) তার ছেলে সাহারুল ইসলাম (৩৫) ও টোকন হোসেন (২২)। অপরদিকে হামলাকারী মোতালেব হোসেন (৩০) আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার মাগরিবের নামাজ চলাকালিন সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
রফিকুল ইসলামের ছেলে মোতালেব হোসেন ও নমাজ আলীর ছেলে আতাউল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আহত টোকন হোসেন।
তিনি জানান, আমার পিতা মখলেছুর রহমান বাড়ির পাশে ১ শতক জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। জমি বিক্রির দেড় লাখ টাকা একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে দালাল মোতালেব হোসেন নিয়ে নেন। গত শনিবার এনিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকে দালাল মোতালেব হোসেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন। গতকাল রবিবার মোতালেব হোসেন ও আতাউল হকের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় হঠাৎ ৩০/৪০ জন লোক লাঠি শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের রক্তাক্ত জখম করেন। আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরের উপসহকারি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) শরীফুল ইসলাম বলেন, শাহিন ও সাহারুল ইসলামের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।