পাষন্ড স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের চরম অত্যচার ও নির্যাতনে মানুষিক রোগী হয়ে পড়ছেন চম্পা খাতুন (২৮) নামের দুই সন্তানের জননী।
চম্পা খাতুন গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। চম্পা খাতুন বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা জানিয়েছেন, চম্পা খাতুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহৃ রয়েছে। নির্যাতনে চম্পা খাতুন দিন দিন মানুষিক রোগী হড়ে পড়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিৎ।
চম্পা খাতুন জানান, প্রায় ১২ বছর আগে বিল্লাল হোসেনের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর একটি মেয়ে আছিয়া খাতুন (৯) ও একটি ছেলে নাইম হোসেন (৪) হয়েছে আমার।
বিয়ের পর থেকেই আমার শাশুড়ি জাইমা খাতুন, ননদ রোকেয়া খাতুন ও মরিয়ম খাতুন বিভিন্ন কারনে অকারনে আমার উপর চরম নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমাকে তালাক দেওয়ার জন্য সব সময় তারা আমার স্বামীকে চাপ দিয়ে আসছেন।
তারা বিভিন্ন সময়ে আমার উপরে চরম নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আরো নির্যাতন করে। শুধু নির্যাতন নয়, আমার শাশুড়ি আমাকে নেশা জাতিয় ওষধ খাইয়ে দেন। না খেতে চাইলেও নির্যাতন করে থাকে।
চম্পার মেয়ে আছিয়া খাতুন জানায়, আমার মাকে আমার আব্বু, দাদী ও ফুঁফুরা সবাই মিলে নির্যাতন করে। তারা নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেই।
চম্পা খাতুনের চোখের কোনায় ফোলা জখমসহ সারা শরীরে আঘাঁতের ক্ষত রয়েছে।
এব্যাপারে চম্পা খাতুনের স্বামী বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার স্ত্রী বেশ কয়েকদিন আগে আমার বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
আমার আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেছি। সে এখন গাংনী হাসপাতালে আছে এমন কথা জানালে তিনি আসছেন বলে জানালেও বিকাল পর্যন্ত আসেননি। বিকালের দিকে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও আর কল রিসিভ করেননি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।