মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে গাংনী উপজেলার তেরাইল নামক স্থানে পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতিতে চলার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে গেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম থেকে নারী, পুরুষ আর শিশু মিলে ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে হাসান পরিবহন নামের একটি বাস (যার নম্বর মেহেরপুর জ -০৪-০০১৬) নাটোরে পিকনিকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাসটি দ্রুত গতিতে তেরাইল ডিগ্রি কলেজের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় বাসটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। বাসের ভেতর থাকা যাত্রীরা বাসের মধ্যে আটকে ছিলেন। বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে রাজনগর গ্রামের একই পরিবারের চারজনসহ ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী খাজিরন নেছা (৩০), মেয়ে সুমাইয়া (১০) ও সামিয়া (৫), একই গ্রামের জুই খাতুন (৭), জোবাইয়া (৪), লিমা খাতুন (২৯), পলি খাতুন (৪০) ও তার ছেলে সম্রাট (১৮), চামেলী খাতুন (৩০), মুক্তি খাতুন (২৯) ও সুরমান আলী (৪০)।
বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার ইছাহাক আলী বলেন, বাস উল্টে যাত্রীরা আটকে পড়েছিলেন। বাস যাত্রীদের বেশিরভাগ আহত হয়েছেন। বাস ফেলে পালিয়ে গেছে চালক ও হেলপার।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসটি হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। বাসের চালকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।