আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের বড় অংশ দখল করে আছে পিঠা। শীত মানেই বাড়ি বাড়ি পিঠাপুলি তৈরী ও খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
সেই আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মেহেরপুরের গাংনী সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে হয়ে গেল পিঠা উৎসব। প্রচলিত বিভিন্ন পিঠা প্রদর্শন ছাড়াও নতুন নতুন পিঠা তৈরী করে উৎসবে শরীক হয় বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ উৎসবে শ্রেণি ভিত্তিক পৃথক স্টলে পিঠার ডালি সাজায় ছাত্রীরা। ভাপা, পাটিসাপটা, পাকান, দুধপুলি, দুধসর, সরু, কুলি ও চিতই পিঠা প্রদর্শন করে। প্রচলিত এসব পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার ফুল, পাখি, মাছ, ঝিনুক সদৃশ্য পিঠা তৈরী করে উপস্থিত সকলের নজর কাড়ে। শতাধিক প্রকার পিঠা প্রদর্শন করেন ছাত্রীরা।
আয়োজন নিয়ে উচ্ছসিত ছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। নবম শ্রেনীর ছাত্রী আয়েশা ও দিপা বলেন, বাড়িতে মায়েরদের কাছ থেকে আমরা পিঠা তৈরী শিখেছি। বিদ্যালয়ে পিঠা নিয়ে এসে একসাথে সকলে খাওয়ার মজাই আলাদা।
প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু বলেন, এর মধ্য দিয়ে ছাত্রীরা যেমনি পিঠা তৈরী শিখবে তেমনি ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে।
শীতের পিঠা উৎসব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। স্টল ঘুরে দেখার সময় ছাত্রীরা তাকে পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এ ধরনের আয়োজন প্রতি বছরই করা দরকার। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠা উৎসব গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
মেপ্র/ইএম