বাজেট স্বল্পতার অজুহাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত পুরুষ্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে আপ্যায়ন করানো হয়নি। তবে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে নাস্তা করানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুষ্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জানা গেছে, ২২টি ক্যাটাগরিতে ৭২টি পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। যার সরকারি বাজেট হিসেবে দেয়া হয় ৬৫ হাজার টাকা। দূরদুরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে অনেক আগেই উপস্থিত হন অনুষ্ঠান শুরুর আগেই। অনেকেই দুপুরের খাবার না খেয়েই অনুষ্ঠানে আসেন।
এসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে কোন প্রকার আপ্যায়ন করা হয়নি। যারা পুরুষ্কার পেয়েছেন তারা পুরুষ্কার হাতে নিয়ে উৎফুল্ল থাকার কথা থাকলেও মলিন মুখে বাড়ি ফিরেছেন সকলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, কোমল মতি শিক্ষার্থীরা সেই দুপুর থেকে পুরষ্কার নেয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল। এদেরকে হালকা নাস্তা করানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি আয়োজকরা। পুরষ্কার হাতে নিয়ে সকলেই ফিরেছে মলিন মুখে। বাজেট থেকে সামান্য খরচ করলেই সকলের মুখে হাসি ফুটতো।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাবিবুল বাশার জানান, বাজেট স্বল্পতার কারনে আপ্যায়ন করা হয়নি। যা বাজেট তার ভ্যাট কেটে নেয়ার পর পুরষ্কার কিনতে গিয়ে টান পড়েছে। এজন্য আপ্যায়ন করা সম্ভব হয়নি।