“এখন পাকা ঘরে শুঁয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাবো, এটা ভাবতেই আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছি। রোদ বৃষ্টি আর ঝড় ঝান্ডায় কতদিন আতংকে রাত ও দিন কাটিয়েছি। ঘরে বৃষ্টির পানি চুঁয়ে পড়ে ভিজে যেতো সব কিছু। রাত জেগে বসে থাকতাম। ঝড়ের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসে কাটিয়েছি রাত। এখন আর সেটা হবেনা। পাল্টে যাবে আমার জীবনের চালচিত্র।” এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন পুলিশের কাছ থেকে ঘর পাওয়া গৃহহীন সখিনা খাতুন (৫০)।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গাংনী উপজেলার সানঘাট গ্রামের সলিম উদ্দীনের স্ত্রী অসহায় সখিনা পেলেন বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া দৃষ্টিনন্দন বাড়ি ও জমি।
নিজের ঘর বাড়ি না থাকায় এক সময় স্থানীয় মেম্বর মজিরুদ্দীনের বাড়িতে থাকতাম। আমার স্বামী সলিম উদ্দীন লোকের জমিতে জনপাট খেটে খায়। দুই মেয়ে নিয়ে অভাব অনটন নিয়ে চলে আমার সংসার। এসময় তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন।
আজ রবিবার দুপুর ১২ টার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুম অনলাইনের মাধ্যমে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যম গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তর করেন।
সারাদেশের ন্যায় গাংনী থানাতেও হেল্পডেস্ক ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তর করা হয়। গাংনী থানা কমপ্লেক্সে স্থাপিত শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক, তদন্ত অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দী, সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক, ও পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন ডেস্ক সার্ভিসের জুমের মাধ্যেম শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের ৫১৯ টি থানায় ৫২০ টি বাড়ি প্রদান করেন।