সুন্দরী নারী দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বর্বশান্ত করা একটি চক্রের এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে বামন্দী বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয় প্রতারণার স্বীকার এক ব্যবসায়িকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই ব্যবসায়ি বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- বামন্দী বাজারের রতন লালের মেয়ে জোসনা রানী ও তার ভাই মেঘলাল, নজরুলের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও আব্দুর রবের ছেলে মকলেছুর রহমান। দীর্ঘদিন এরা মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদ পেতে যুবক ও ব্যবসায়িদের ডেকে নিয়ে ভিডিও করা ছাড়াও ব্লাক মেইল করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন।
পুলিশ জানায়,জোসনা রানীকে দিয়ে এ চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যবসায়ি ও যুবকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে কৌশলে ডেকে নিতো। পরে স্থানীয় যুবকরা তাকে একটি ঘরে আটক রেখে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। কয়েকদিন আগে মেহেরপুরের আহসান আলী নামের এক ব্যবসায়ি সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় জোসনার। রোববার দুপুরে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি ঘরে আটক রেখে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে জোসনা ও তার সঙ্গীরা। এসময় তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে। বিষয়টি জানতে পেরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়িকে উদ্ধার করে এবং প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ওই নারীর বিরুদ্ধে অনৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে নরসিংদী জেলায় দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।