গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি গ্রামে বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এছাড়া একটি গরুর মৃত্যু ও দুটি গাছ পুড়ে গেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচ টার দিকে বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায় কৃষক আব্দুর রশিদ ঝড় ও বৃষ্টির সময় একটি গরু গাছের সাথে বাঁধতে যান। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে গরুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মারাত্বক আহত হন কৃষক আব্দুর রশিদ (৬০)। এছাড়া ওই নারিকেল গাছের মাথার অংশ পুড়ে যায়। আব্দুর রশিদ ওই গ্রামের মৃতু চাঁদ মহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে। আব্দুর রশিদ বাড়িতে নারকেল গাছের সাথে গুরুবাধতে গেলে নারিকেল গাছের উপর ও গরুর গায়ের উপর বজ্রপাত হয় । তাৎক্ষণিক গরুর এক পাশে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় এবং গরুটি মারা যায়। এদিকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সাথে বজ্রপাত ঘটে গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের লাল্টু হোসেনের স্ত্রী পিঞ্জিরা খাতুন (৪৪) ও একই উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের মখলেছুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৪৫) মারাত্বক আহত হয়েছেন। আহত আনোয়ারা ও পিঞ্জিরা খাতুন গাংনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
আহত পিঞ্জিরা জানান, সন্ধ্যার দিকে ঝড় ও বৃষ্টির স্থে দমকা হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে আমার বাড়ির শিড়ি ঘরের উপরে। আগুনের কুন্ডুলির মত বস্তু উঠানে গড়াগড়ি খাচ্ছিল দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন আমাকে। তার বাড়ির উপরে একটি গাছ পুড়ে গেছে বলেও জানান পিঞ্জিরা খাতুন। একই সময় বাথানপাড়া গ্রামের আনোয়ারা খাতুন বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় তার কিছুদুরে বজ্রপাত ঘটে। এসময় বিকট শব্দে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গাংনী উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত স্যাকমো শরীফুল ইসলাম জানান, আহতদের অবস্থা ভাল আছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে সবাই বাি ফিরেছেন।