বিজয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা গাংনী বাজারে শহীদ রেজাউল চত্বরে পতাকা টাঙ্গানোর জন্য প্লাস্টিকের পাইপ পুততে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এসে পাশেই তারাও পাইপ পুতার প্রস্তুতি নেয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সকাল ১১ টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আগেই পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবছরই এখানে আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিজয় দিবস ও অন্যান্য দিবস পালন করে থাকি। এবছর বিজয় দিবসের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন তার নিজ বাসভবনে ১০ থেকে ১৫জন লোকজন নিয়ে প্রস্তুতি সভা করে। সেখানে আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।
আনারুল ইসলাম বাবু আরও বলেন আমরা মুজিব সৈনিক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছি। আমরা বিজয় দিবস পালন করবনা এটা হয়না। তাই জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে আমরা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তারই ধারাবহিকতায় আমরা মঞ্চ পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে এমপি খোকনের লোকজন এসে আমাদের অনুষ্ঠান বানচাল করার উদ্দেশ্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী করে।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় তাদের ডাকলেও তারা আসেনি। এ কারণে এ বার তাদের ডাকা হয় নি। তবে উদ্ধুব্ধ পরিস্থিতি সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও জেলা আওয়ামীলীড়ের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সাথে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ ঘরের মধ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে কিন্তু কাউকে ডাকেনি। যেটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত। বিজয় দিবসের মত একটি অনুষ্ঠান অবশ্যাই পালন হবে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।