মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগোল বাড়িয়া গ্রামে এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে জোর পুর্বক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে যৌন নিপীড়ক উসমানের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
জানাগেছে, গত রবিবার রাত ৮ টার সময় গোগলবাড়িয়া গ্রামের হির পাড়ার এক দিনমজুর ভাংড়ি ব্যবাসীয়র স্ত্রী তার নিজ ঘরে বসে হাতুড়ি দিয়ে লোহা ভাঙ্গা ও ভাংড়ি ভাছাইয়ের কাজ করছিলেন। এসময় প্রতিবেশী কাশেমের ছেলে উসমান (৩২) ওই নারীকে জোরপুর্বক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালাই।
এসময় নিজেকে রক্ষা করতে ওই নারী চিৎকার করে এবং নিজেকে ছাড়াতে ওসমানের পিঠে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে উসমান পালিয়ে যায়। ওই নারীর চিৎকারে তার বৃদ্ধা শাশূড়ি ছুটে এসে তার পত্র বধুকে রক্ষা করে। পরে তার স্বামী বাড়িতে আসলে ঘটনাটি জানায়।
এবিষয়ে উসমানের পরিবকারকে বিষয়টি জানালে উল্টো ভাংড়ি ব্যাবাসয়ীর ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। সোমবার সকালে ওই নারী ও তার শাশুড়ি গাংনী থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারি ওই নারী জানান, এর আগেও বেশ কয়েকদিন ধরে আমাকে জোর করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আমার তিনটি মেয়ে রয়েছে। দুটি মেয়ের বিয়ে দিয়ে স্বামীর সংসার করছে। মান সম্মানের ভয়ে কিছু বলিনি।
নাম প্রকাশে গোপনীয়তা বজায় রাখার শর্তে স্থানীয়রা জানান, উসমান এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক সেবী। সে সব সময় গাঁজা ও ফেন্সিডিলে আসক্ত থাকে। তার সাথে বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যাবসায়ীদের যোগাযোগ আছে, যার কারনে তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। উসমানের ভয়ে অনেকেই অতংকিত হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় এক ভ্যানচালক।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ওই নারী। তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।