গাংনীতে মশার কয়েল থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আরমান আলী নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরে থাকা ১ টি গরু ও ৪ টি ছাগল পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। একই সাথে পুড়েছে আরমান আলীর খড়ির ঘর ও রান্না ঘর। এসময় গরু ছাগল বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন গৃহকর্তা আরমান আলী। সে বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আরমান আলী।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে আরমান আলীর গোয়ালঘরে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন মুহূর্তে গোয়ালঘর থেকে পাশের রান্নাঘর ও খড়ির ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পরিবারের লোকজনের হৈ চৈ শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি বামন্দী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে বামুন্দী ফায়ার সার্ভস ও সিভিল ডিফেন্সের পানি বাহী গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে আরমান আলীর গোয়াল ঘরে থাকা ১টি গরু ও চারটি ছাগল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এছাড়া ছাগল ও গরু পুড়ে ভস্মিভূতের পাশাপাশি বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য কাওছার আলী অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
আরমান আলী বলেন, গরু ও ছাগলকে মশা থেকে সুরক্ষা দিতে গোয়াল ঘরে কয়েল ও নুন্দি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল। মশার কয়েল থেকে সৃষ্ট হয়েছে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার সাথে সাথে পরিবারের সদস্যরা পানি ছেটানোর পাশাপাশি পাড়ার লোকজনকে ডাকি। তারাও ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সব চেষ্টায় ব্যার্থ। আগুনে পুড়ে আমার সবকিছু শেষ হয়েছে।