সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভাটাপড়া বাজারে প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে সেডসহ বিল্ডিং নির্মাণ করা হলেও মাছ ব্যবসায়ীরা সেটি ব্যবহার করছেন না। দেড় বছর ধরে তারা সড়কের ওপরে রমরমা ভাবে বেচা বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সড়কের ওপর ব্যবসা খুলে বসায় পথচারিদের পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্দি। সেই সাথে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকাও করা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানাগেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া বাজারে কোাট টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি দৃষ্টি নন্দন বিল্ডিং ও সেড। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বুধবার দু,দিন এখানকার হাট বসে। সকল ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হলেও মাছ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় হাট বসাচ্ছেন। মাছ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ব্যবসা করার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে পথচারিদের বাকবিতন্ড লেগেই আছে।
মেহেরপুরের লেগুনা চালক আশরাফুল ইসলাম জানান,প্রতি রবি ও বুধবার রাস্তা দখল করে হাট বসানোর কারনে যানজট তৈরী হচ্ছে। এতে আমাদের সময় বেশি লাগছে এবং লেট ফাইন দিতে হচ্ছে। বাজারের সরকারি হাটের নির্দিষ্ট জায়গাতে হাট বসানোর জন্য দাবী করেন এই চালক।
ট্রাক চালক তারেক হোসেন জানান, রাস্তার দুই ধারে প্যালাসাইড দিয়েছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেই সব প্যালাসাইড তুলে ফেলে দিয়েছে মাছ ব্যবসায়ীরা। প্রায় দেড় বছর ধরে রাস্তা দখল করে রেখেছে মাছ ব্যবসায়ীরা। যেন দেখার ও বলার কেই নেই।
আলমসাদু চালক হাসান জানান, আমি যাত্রী নিয়ে গাংনী থেকে মেহেরপুর যাচ্ছিলাম। ভাটপাড়া বাজারে এসে পৌঁছালে মাছ ব্যবসায়ীরা আমার যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। ভাটপাড়া বাজার সংলগ্ন জন গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটি দখলমুক্ত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা বলেন, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা করে মাছ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। এতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি কারো প্রাণহানিও হতে পারে। গাংনী উপজেলা প্রশাসন দ্রত ব্যবস্থা না নিলে জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে হাট ইজারাদারদের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।