মেহেরপুরের গাংনীতে ২য় শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাতে নির্যাতিতা শিশু কন্যার মা চম্পা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গাংনী থানায় মামলা নং ১৪। আজ সোমবার সকালে শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারি এসআই সুমন।
মামলার আসামী আক্কাস আলী (৬৫)কে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার বামুন্দীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, আক্কাস আলী তার প্রতিবেশি হওয়ার কারনে শিশু কন্যার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত ছিল। ঘটনার দিন মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আক্কাস আলী তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। ঘটনাটি ধামচাপা দিতে মেয়েকে হুমকিও দেয় আক্কাস আলী। পরিবারের কাউকে যৌন নির্যাতনের কারনে মেয়ের শারীরিক অবস্থা দূর্বল হয়ে পড়লে তখন তার মাকে নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলে । এরপর অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে থানায় মামলা করতে আসে শিশুটির পরিবার। শিশু কন্যার মা বাদী হয়ে মামলা করায় আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঝিনাইদাহ জেলার মৃত তোরাপ আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৬৫) হার্টিকালচারের সাবেক কর্মচারী। হার্টিকালচারে চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে নিজ জেলায় না গিয়ে বামুন্দি হাসপাতাল পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। আক্কান আলীর পরিবার জানায়, আমরা অন্য জেলায় থেকে বামুন্দিতে বসবাস করা কালে সামাজিক ভাবে ভাল পজিশনে রয়েছি। স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে দির্ঘদিনের বিরোধ। তারই সুত্র ধরে আক্কাস আলীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী আক্কাস আলীর ছেলেসহ পরিবারের।
গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান,বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত ওসি সাজেদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে গিছেলাম। একটি শিশু কন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।