মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধ্যা রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আহতরা হলেন, জুগিন্দা গ্রামের মকরেম আলীর তিন ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৮), আবু বক্কর (৩৭) ও তোফাজ্জেল হোসেন (৫০) এবং তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫)। অন্যপক্ষের আহতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুর রবের দু’ছেলে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৩০) ও সাজিদুল ইসলাম (২৫), গোলাম রসুলের দু’ছেলে ফলেদ হোসেন (৩০) ও আব্দুস সামাদ (৫০)।
আহত ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে দেলোয়ার হোসেন ৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে আমার ফার্ণিচার থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি খাট কেনার বায়না দেয়। বৃহস্পতিবার ওই খাটের পুরো টাকা না দিয়ে খাট নিয়ে যেতে চায়। আমি বাকিতে খাট দিতে অপরাগত প্রকাশ করি।
এ সময় দেলোয়ার বায়নাকৃত টাকা তাৎক্ষনিকভাবে ফেরত চাইলে, আমি তার টাকা ফেরত দিই। তারপরও সে তার লোকজনদের সাথে নিয়ে আমার উপর হামলা শুরু করে। এ সময় আমার লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে।
অন্যদিকে আহত আবু বক্কর পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের কাছে দেলোয়ার অগ্রিম টাকা বায়না দিয়ে একটি খাট বানানোর জন্য বলে। সে মতে সাইদুল খাট তৈরিও করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেলোয়ার খাট নিতে গেলে, পুরো টাকা পরিশোধ করার পর খাট দেয়া হবে এমন কথা বলেন সাইদুল। এ সময় দেলোয়ার খাট না নিয়ে বায়নাকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে, দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সাইদুলের লোকজন আমাকেসহ আমার লোকজনের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করেন।
গাংনী থানার ওসি জানান, খবর শুনে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের একটি দল পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।