সহকর্মীদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও চোখের জলে কর্মস্থল থেকে শেষ বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন।
এসময় তাকে ক্রেষ্ট ও ফুল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান দীর্ঘদিনের সহকর্মী অফিসের সদস্যরা। দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন টিআই ফরিদা ইয়াসমীন। এসময় সহকর্মী ও অফিসের সদস্যের চোখে পানি চলে আসে।
একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে কর্মস্থলকে করেছিলেন আপন। ৩২ বছর ২ মাস সেবা দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সহকর্মীদের কাছে আপনজন আর সেবা গ্রহীতাদের পরম বন্ধু। ভালবাসা আর চোখের জলেই তাকে বিদায় দিয়ে বর্ণনা করেন কর্মময় জীবনের নানা স্মৃতিময় অধ্যয়।
কর্মময় জীবনের শেষ অফিস ছিল গত শনিবার। চাকুরী জীবনের শেষ দিনে তার বিদায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সহকর্মীরা আয়োজন করেন অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা। সেখানেই তৈরী হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।
গাংনী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজী মুনছুর আলী। অনুষ্ঠানে জেলার সকল সমাজসেবা কার্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনার সহধর্মীনি। দীর্ঘ ৩২ বছর ২ মাস তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকুরী করেছেন। কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়া মানুষ চিহ্নিত করে ভাতা ও ঋণ বিতরণ এবং আদায় কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার আচার-ব্যবহার আর যথাযথ দায়িত্ব পালনে সহকর্মী আর উপকারভোগীদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়েছিলেন। ফলে তার বিদায় অনুষ্ঠান ছিল এক বিষাদময়।
কর্মস্থলের সততা ও নিষ্ঠার জন্য এই সফল নারীকে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া।