মেহেরপুরের গাংনীর গাড়াডোব রাস্তায় ছিন্তাইকারীদের গুলিতে নিহত কোমরপুর সিটি ব্যাংকের এজেন্ট খাদেমুল ইসলাম (৩৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সুমন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে প্রেস প্রেস ব্রিফিং করেছে গাংনী থান পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন, এসময় ওসি বজলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে সন্দেহাতীত ভাবে সুমনকে তার শশুরবাড়ি থেকে গত ২৮ আগস্ট আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে সুমন টাকা ছিন্তাইয়ের পরিকল্পনাসহ ছিন্তাইয়ের কৌশল এবং কারা এ ছিন্তাইয়ে জড়িত তার বিশদ বর্ণনা দেয়।
সে অনুযায়ি ছিন্তাই কাছে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল , হেলমেট ও ছিন্তাই কাজে ব্যবহৃত রিভলবারের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আরো জানায়, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হঠাৎ নয় বেশ কিছুদিনের পরিকল্পনা। ঘটনার ৫/৬ দিন আগে আমঝুপি নীল কুঠিতে ছিনতাইকারিরা একাধিকবার বৈঠক ও নকশা তৈরী করে এমন ঘটনা ঘটায় বলেও জানায় ওসি বজলুর রহমান।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীন রেজার আদালতে সুমন জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার টুঙ্গী গোপালপুরের শমসের আলীর ছেলে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৬ আগস্ট সকালে কোমরপুর সিটি এজেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজার খাদেমুল ইসলাম ৪৬ লাখ টাকা নিয়ে গাংনী আসার পথে গাড়াডোব রাস্তার ছিন্তাইকারীরা গুলি করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গুলিবিদ্ধ খাদেমুল ইসলামকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় খাদেমুলের ভাই আরফান আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ২৭/২১ তাং ২৭/০৮/২০২১ ইং।