মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন মাঠের জমি ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছ্। সংঘর্ষের ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে বেতবাড়ীয়া স্কুল চত্বরে জমি ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, বেতবাড়ীয়া গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে বাবুল হোসেন(৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩৫)।
অন্যপক্ষের কাজীপুর ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ও বেতবাড়ীয়া স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের নূর বক্সের ছেলে সালেহীন (৪৮), নজির আলীর ছেলে কামিরুল ইসলাম (৩৬)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত বাবুল হোসেনের চাচা বেতবাড়ীয়া গ্রামের পাঞ্জাব আলী জানান, বেতবাড়ীয়া হাইস্কুলের নামে মাঠে ৪২ বিঘা জমি রয়েছে। ঐ জমি প্রতিবারের ন্যায় বেতবাড়ীয়া গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি ইজারা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে জমি ইজারা নেয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছ্।ে
কয়েকদিন আগে স্কুলের জমি নতুন বছরের জন্য লিজ দিতে গ্রামে মাইকিং করা হয়। সে লক্ষে এলাকাবাসীর উপস্থিতি স্কুলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য ইজারা কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাবুল হোসেন সর্বোচ্চ টাকা ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
এসময় সাইদুল মেম্বর ও তার লোকজন তার নিজের লোকজনের জমি পাইয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে বাবুল হোসেন ও শহিদুলের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ইজারা চলাকালীন সময়ে বেতবাড়ীয়া গ্রামের আলেহীম প্রভাব খাটাতে ইজারা সময় তার লোকজনদের নিয়ে ইজারার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা অবৈধ দাবী কওে বসে। আমি স্কুলের সভাপতি হিসাবে উক্ত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আলেহীম পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ও আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের গাংনী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এখনও কেউ অভিযোগ করে নাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।