মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূৃর্ব মালসাদহ এলাকায় স্ত্রী হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল গভীর রাতে স্বামী জুয়েল তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিৎ করে। পরে এ হত্যা কান্ডকে ধামাচাপা দিতে ডাকাতি নাটক সাজায় ঘাতক জুয়েল।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে রবিবার মেহেরপুর সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন রেজার খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী দেয় আসামী জুয়েল।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, গাংনীর দারিদ্র বিমোচন কেন্দ্র নামের একটি এনজিও থেকে স্ত্রী চম্পা ও ঘাতক জুয়েল তার মায়ের নামে ৯৮ হাজার টাকা করে মোট ১লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করে তার শশুরকে ব্যবসা করতে দেয়। তার শশুর ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে পরে বাকি টাকা দিতে বিলম্ব করে। টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ নিয়ে জুয়েল ও কার স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হতো। এর এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ১৪ এপ্রিল রাতে স্বামী জুয়েল তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ও পরে ডাকাতির নাটক সাজাতে মৃত স্ত্রীর মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে এবং নিজেও নিজেকে আঘাত করে।বর্তমানে সে মেহেরপুর জেল হাজতে রয়েছে।